তাজমহল : সম্রাট শাহজাহানের পত্নী মমতাজের সমাধিসৌধ-বিশ্বের সর্বাপেক্ষা আশ্চর্য বস্তুর অন্যতম।
পৃথিবীর সাত আশ্চর্যের একটি, অসাধারণ স্থাপত্যশৈলীর তাজমহল। এটি নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। তবে সম্প্রতি ভারত সরকার বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেছে, পুরনো নথিপত্র অনুযায়ী অসাধারণ এই স্থাপনাটি যে তাজমহল তাতে কোনো সন্দেহ নেই। মোঘল সম্রাট শাহজাহান স্ত্রী মমতাজ মহলের মৃত্যুর পর তাকে স্মরণ করে এই স্থাপনা নির্মাণের উদ্যোগ নেন। আরবী শব্দ তাজমহল অর্থ ‘সব প্রাসাদের মুকুট’। পারস্য, তুরস্কের অটোম্যান সাম্রাজ্য ও ভারতীয় সংস্কৃতির মিশেলে এই স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। বলা হয় প্রায় ২২ হাজার শ্রমিক, পেইন্টার, চিত্রশিল্পী মিলে তাজমহল নির্মাণ করেছেন। তো, এই রহস্যময় স্থাপনা নিয়ে চলমান বিতর্কে এর কিছু অজানা তথ্য জেনে নেই চলুন-
*তাজমহল নির্মাণের পর থেকে প্রচলিত কথা শোনা যায়, সম্রাট শাহজাহান যমুনা নদীর আরেক তীরে একটি কালো তাজমহলও নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন। তবে তার ছেলে আওরঙ্গজেবের হস্তক্ষেপে ঐ সিদ্ধান্ত বাতিল হয়ে যায়।
*তাজমহল নির্মাণ শেষ হওয়ার পর ১৬৫৮ সালে আওরঙ্গজেব শাহজাহানকে গৃহবন্দি করে। বন্দি থাকা অবস্থায় জানালা দিয়ে জীবনের বাকি ৮ বছর তাজমহলকে দূর থেকেই দেখার সুযোগ পান শাহজাহান।
*সম্রাটের স্ত্রীদের পাল্টে যাওয়া মনের আবেগ ধারণ করা হয়েছে তাজমহলে। এ কারণে বিভিন্ন সময় তাজের রং পাল্টায়। ভোরে গোলাপী আভা ছড়ায়, সন্ধ্যায় দুধের মতো সাদা হয়ে যায়। আর পূর্ণিমার রাতে সোনালী আভা ছড়ায় তাজমহল।