যে ব্যক্তি ঘরে বসে কোন পরিশ্রম ছাড়াই আল্লাহর দরবারে রুজি বা আহারের জন্য দোয়া করবে; তার দোয়া কখনও কবুল হবে না। বরং জবাবে তাকে বলা হবে যে, তোমাকে কি রুজি সন্ধানের আদেশ দেয়া হয় নি?
শাবিস্তানের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ৬ষ্ঠ ইমাম হযরত জাফর সাদীকের (আ.) উদ্ধৃতি দিয়ে হযরত জাফর ইবনে ইবরাহীম বর্ণনা করেছেন:
اربعة لا یستجاب لهم دعوة :رجل جالس فی بیته یقول :اللّهمّ ارزقنى ،فیقال له :الم امرک فی الطّلب ؟و رجل کانت له امرأة فاجرة فدعا علیها ،فیقال له :الم اجعل امرها الیک ؟و رجل کان له مال فافسده ،فیقول :اللّهمّ ارزقنى ،فیقال له :الم امرک بالاقتصاد ».
অর্থাৎ চার শ্রেণীর মানুষের দোয়া কখনও কবুল হবে না। যথা:
১- যে ব্যক্তি ঘরে বসে কোন পরিশ্রম ছাড়াই আল্লাহর দরবারে রুজি বা আহারের জন্য দোয়া করবে; তার দোয়া কখনও কবুল হবে না। বরং জবাবে তাকে বলা হবে যে, তোমাকে কি রুজি সন্ধানের আদেশ দেয়া হয় নি?
২- যে ব্যক্তির ঘরে অসৎ ও অসতী স্ত্রী থাকবে এবং সে উক্ত স্ত্রীর প্রতি অভিসম্পাত বর্ষণ করবে। তাকে বলা হবে যে, এ স্ত্রীর দায়-দায়িত্ব (তাকে তালাক দেয়া কিংবা রাখার) বিষয় কি তোমার অর্পিত নয়?
৩- যে ব্যক্তির নিজ অর্থ-সম্পদ অহেতুকভাবে ব্যয় করে এবং পরিণামে যখন নি:স্ব হয়ে যায়, তখন যদি আল্লাহর কাছে অর্থ-সম্পদ কামনা করে; তাহলে তাকে বলা হবে যে, তোমাকে কি মিতব্যয়ী ও মধ্যপন্থা অবলম্বনের আদেশ দেয়া হয় নি?
৪- যে ব্যক্তি অপর কাউকে কর্জ বা ধার দেয়; কিন্তু উক্ত কর্জের কোন সাক্ষ্য বা প্রমাণ না রাখে। এমতাবস্থায় কর্জ গ্রহণকারী ব্যক্তি যদি কর্জ পরিশোধে অস্বীকার করে, তাহলে কর্জ দানকারী ব্যক্তিকে বলা হবে যে, তোমাকে কি কর্জ দানের সময় সাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণের আদেশ দেয়া হয় নি?
সুতরাং আমরা উপরোক্ত রেওয়ায়ত থেকে এ শিক্ষা গ্রহণ করি যে, পরিশ্রম ছাড়াই আল্লাহর দরবারে রুজি প্রার্থনা, অসৎ ও অসতি স্ত্রীকে তালাক না দিয়ে তার প্রতি অভিসম্পাত করা, মধ্যপন্থা অবলম্বন না করার ফলে নি:স্ব হলে এবং কোন সাক্ষ্য-প্রমাণ ছাড়াই কাউকে কর্জ দিলে- এ চার অবস্থাতে যদি কোন ব্যক্তি বিপদের শিকার হয়ে আল্লাহর দরবারে সাহায্য প্রার্থনা করে; তবে তার প্রার্থনার জবাবে উপরোক্ত উত্তর দেয়া হবে।