আল্লাহর নিকট কুরবানীর পশুর রক্ত মাংস কোনো কিছুই পৌছায় না। শুধুমাত্র বান্দার তাকওয়া পৌছায়। কুরআনে ইরশাদ হয়েছে,‘আল্লাহর কাছে এর গোশত কিংবা রক্ত পৌছায় না; বরং তাঁর দরবারে তোমাদের তাকওয়া পৌছায়।’ (সূরা হাজ্জ: ৩৭)। যারা তাকওয়ার সহিত কুরবানী করবে; তাদের কুরবানীর পশুর রক্ত জমিনে পড়ার পূর্বে আল্লাহতায়ালা কবুল করে নিবেন। কুরআনে ইরশাদ হয়েছে,‘আপনি এদের নিকট আদমের দুই পুত্রের গল্পটি যথাযথভাবে শুনিয়ে দিন! যখন তারা দুই জনই কুরবানী পেশ করল, তখন তাদের মধ্যে একজনের নিকট থেকে কুরবানী কবুল করা হলো, আরেকজনের কাছ থেকে তা কিছুতেই কবুল করা হলো না, সে বলল, আমি অবশ্যই তোমাকে মেরে ফেলবো (যার কুরবানী কবুল করা হলো), সে বলল, আল্লাহ পাক তো শুধু পরহেযগার লোকদের নিকট থেকেই কুরবানী কবুল করেন।’(সূরা মায়েদা:২৭)।
আল্লাহর প্রীতি ও ভালোবাসা লাভের উদ্দেশ্যে কোনো কিছু উৎসর্গ করা বা বিসর্জন দেয়াকে কুরবানী বলা হয়। আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান প্রত্যেক ব্যক্তির উপর কুরবানী হুকুম পালন করা ওয়াজিব। সামর্থ্য থাকা সত্তে¡ও যদি কেউ কুরবানী করা থেকে বিরত থাকে; তাহলে তাকে গোনাহগার হতে হবে। নেক আমল সমূহের মধ্যে কুরবানী একটি বিশেষ আমল। কুরআনুল কারীমে আল্লাহর প্রীতি ও ভালোবাসা লাভের জন্য নামাজ আদায়ের পাশাপাশি কুরবানী করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আপনার রবের জন্য নামাজ পড়–ন এবং কুরবানী করুন।’ (সুরা কাউছার:২)। হযরত আবূ হোরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত হয়েছে, হযরত রাসূল (সা:) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্তে¡ও কুরবানী করে না, সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’ (ইবনে মাজাহ:৩১২৩)।