মাটি তৈরি: ড্রাম বা টবের ২ ভাগ বেলে দোআঁশ মাটি, ১ ভাগ গোবর, ৪০-৫০ গ্রাম টিএসপি সার এবং ৪০-৫০ গ্রাম পটাশ সার মিশিয়ে টব বা ড্রাম এমনভাবে ভর্তি করতে হবে, যেন উপরে পানি দেওয়ার জন্য একটু (৩-৫ সেমি) খালি থাকে। এরপর মাটির সাথে অন্যান্য উপাদান ভালোভাবে মেশানোর জন্য পানি দিয়ে ১০-১২ দিন রেখে দিতে হবে। এরপর মাটি কিছুটা আলগা করে দিয়ে পুনরায় ৪-৫ দিন একইভাবে রেখে দিতে হবে। টবের মাটি ঝুরঝুরে করে ড্রামে ভরতে হবে। টবের মাটি ঝুরঝুরে হয়ে গেলে ড্রাগনের কাটিংয়ের চারা ওই টবে ৮-১০ সেমি গভীর করে রোপণ করতে হবে। গাছের গোড়ায় মাটি কিছুটা উঁচু করে হাত দিয়ে চেপে চেপে দিতে হবে। যাতে গাছের গোড়া দিয়ে বেশি পানি না ঢুকতে পারে।
কাটিং বা চারা পাওয়ার স্থান: ড্রাগন ফলের সুস্থ ও রোগমুক্ত কাটিং বা চারা বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যায়। তার মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহে অবস্থিত বৃহৎ জার্মপ্লাজম সেন্টার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের বিভিন্ন হর্টিকালচার সেন্টার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন গবেষণা কার্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন নার্সারিতেও পাওয়া যায়।
গাছের পরিচর্যা: ড্রাগন ফল গাছের সঠিক পরিচর্যা না করলে ফলন ভালো হবে না। ড্রাগনের গাছের কাণ্ড লতানো প্রকৃতির। তাই চারা লাগানোর পর গাছ কিছুটা বড় হয়ে গেলে গাছকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য খুঁটি বা পিলার পুঁতে দিয়ে পিলারের মাথায় গোলাকার কোন কিছু যেমন টায়ার বেঁধে দিতে হবে, এতে গাছ সহজেই ঢলে পড়বে না। গাছে অতিরিক্ত বা রোগাক্রান্ত শাখা বের হলে তা কেটে ফেলে দিতে হবে। গাছের চারপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। যদিও ড্রাগন ফল গাছে তেমন একটা রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ হয় না। তবে পারিপার্শ্বিক অন্যান্য যত্ন নিয়মিত নিতে হবে। ড্রাগন ক্যাক্টাস জাতীয় গাছ। তাই পানি খুব কম দিতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে, যেন গাছের গোড়ায় পানি কখনই জমে না থাকে। কাটিং লাগানোর পরে টব বা ড্রামটিকে মাটিতে বা ছাদে রৌদ্রোজ্জ্বল জায়গায় রাখতে হবে।