আল্লাহতায়ালা কুরআন মজীদেই নির্দেশ করেছেন, ‘ধীরে ধীরে স্পষ্টভাবে কুরআন তিলাওয়াত কর।’ (মুয্যামমিল-৪)
পবিত্র কুরআন শরীফ ছহি (শুদ্ধ) করে পড়লে অনেক ছওয়াব, তেমনি অশুদ্ধ পড়লে গুণাহ হয় এবং অনেক ফরজ ইবাদতও নষ্ট হয়ে যায়। অশুদ্ধ পড়ার কারণে কোন কোন ক্ষেত্রে অর্থের পরিবর্তনও হয়ে যায়, তাই প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর উপর তাজবীদের সঙ্গে শুদ্ধ পবিত্র কুরআন শরীফ পাঠ করা একান্ত কর্তব্য।
এই সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা কুরআন মজীদেই নির্দেশ করেছেন, ‘ধীরে ধীরে স্পষ্টভাবে কুরআন তিলাওয়াত কর।’ (মুয্যামমিল-৪)
‘আমি এই কুরআনকে পৃথক পৃথক করে নাযিল করেছি যেন আপনি উহা মানুষের সম্মুখে থেমে থেমে পড়তে পারেন, আর আমি উহাকে নাযিল করার সময়ও (অবস্থামত) ক্রমে ক্রমে নাযিল করেছি। (যেন উহা সহজ ও সুস্পষ্টভাবে বোধগম্য হয়)।’ (বনী ইসরাঈল ১০৬)
‘আমি উহাকে এক বিশেষ ধারায় আলাদা অংশে সজ্জিত করেছি।’ (ফুরকান ৩২)
কুরআন শুদ্ধ করে পড়ার ফজিলত সম্পর্কে হাদীস : হযরত উসমান ইবনে আফফান (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করীম (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে ওই ব্যক্তি সর্বোত্তম, যে নিজে কুরআন শিখে এবং অন্যকে শিখায়’ (বুখারী)
আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, নবী করীম (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ অন্য কোন নবীর তিলাওয়াত শুনেন না, যেরূপ তিনি কোন নবীর সুমধুর তিলাওয়াত শুনেন (অর্থাৎ যিনি সুস্পষ্ট করে সুন্দরভাবে তিলাওয়াত করেন তা যেরূপ শুনেন তদ্রুপ অন্যের তিলাওয়াত শুনেন না)। অধঃস্তন রাবীর সঙ্গী (আবু সালমা) বলেছেন এর অর্থ উচ্চস্বরে সুষ্পষ্ট করে তিলাওয়াত করা।’ (বুখারী)
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি পবিত্র কুরআন শরীফের একটি হরফ পড়বে সে ব্যক্তি দশটি নেকী পাবে।’
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সমস্ত ইবাদতের মধ্যে পবিত্র কুরআন শরীফ পাঠ করা সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত।’
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয় যার অন্তরে পবিত্র কুরআন শরীফের কোন একটি অক্ষরও নেই সে যেন একটি খালি ঘর’।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি পবিত্র কুরআন শরীফ পাঠ করে এবং উহার হুকুম অনুযায়ী আমল করে কিয়ামতের দিন তার পিতামাতাকে এমন একটি টুপি পরানো হবে, যার আলো সূর্যের আলো হতেও অধিক উজ্জ্বল হবে।’
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা পবিত্র কুরআন শরীফ পাঠ কর, নিশ্চয়ই উহা তোমাদের জন্য কিয়ামতের ময়দানে সুপারিশ করবে।’