হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের অন্যতম প্রধান কারণ হল থ্রম্বোসিস বা রক্তের জমাটবাঁধা৷ যে সব ওষুধ দিয়ে রক্তের জমাটবাঁধা দূর করা বা প্রতিহত করা যায়, সেগুলিতে রয়েছে আবার অনেক ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া৷ ফ্রাঙ্কফুর্টের জীবরসায়নবিদ ইয়োহানেস এব্লে বিকল্প কোন উপাদান খোঁজ করছিলেন অনেক দিন থেকে৷ অবশেষে সাপের বিষে পেলেন তার সন্ধান৷
পূর্ব অস্ট্রেলিয়ার গাছগুলিতে আস্তানা গাড়তে ভালবাসে বিষাক্ত ডোরাকাটা সাপেরা৷ গায়ের রঙ কালো, আঁশওয়ালা চামড়া৷ এই সাপের মারাত্মক বিষ যে কী করতে পারে, সেই অভিজ্ঞতা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার এক সাপ গবেষক ব্রায়ান গ্রিগ ফ্রাইয়ের৷ তিনি জানান, ‘‘এই সাপ কামড় দেয়ার পর আমি পাঁচ মিনিটের মত অজ্ঞান হয়ে ছিলাম৷ যখন জ্ঞান ফিরল, তখন আমার সারা দেহেই বিষের ঝড় বয়ে গেছে৷ রক্তের রাসায়নিক প্রক্রিয়া প্রায় ধ্বংসের মুখে৷ এজন্য যে ওষুধ দেয়া হয়েছিল, সেটা কাজে লাগতে ১৮ ঘন্টা লেগে যায়৷ সে পর্যন্ত কামড়ের জায়গাগুলি থেকে অনবরত ফোঁটা ফোঁটা রক্ত পড়তে থাকে৷''
Flash-Galerie Giftschlangen
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিষধর সাপ ছড়িয়ে রয়েছে
সাপের বিষের প্রতিক্রিয়ায় রক্ত জমাট বেঁধে আঘাতটা সারতে পারেনি৷ এই খবরটা পেয়ে টনক নড়ে ওঠে ফ্রাঙ্কফুর্টের জীবরসায়নবিদ ইয়োহানেস এব্লের৷ হয়তো বা সাপের বিষেই পাওয়া যাবে রক্তের জমাটবাঁধা প্রতিহত করার নতুন ওষুধ৷ সাপের বিষে রয়েছে নানা ধরনের হাজার হাজার মলিকিউল বা অণু৷ সবগুলোই বিষাক্ত নয়৷ অনেকগুলো আবার অন্য উপাদানের সংস্পর্শে এসে বিষাক্ত হয়৷ ইয়োহানেস এব্লে জানান, ‘‘সাপের বিষে শুধু যে রক্ত জমাটবাঁধা প্রতিহত করার উপাদান রয়েছে তাই নয়, কিছু কিছু উপাদান আবার জমাট বাঁধতেও সাহায্য করে৷ অর্থাৎ এক ধরনের উপাদানের কারণে শিরায় রক্ত যেমন জমাট বেঁধে যায়, অন্য উপাদানের কারণে আবার দেহের কোষে রক্ত প্রবাহিত হয়৷ ফলে রক্তের ঘনত্ব দারুণ কমে যায়৷ যা অত্যন্ত মারাত্মক৷''