পদার্থবিজ্ঞানের দিক থেকে দেখতে গেলে, বলতে হয় যে মানুষের চোখ পর্যবেক্ষণের জন্য বিশেষ উপযোগী যন্ত্র নয়। প্রথমত আমরা তড়িৎ চুম্বকীয় বর্ণালীর খুব ছোট একটি অংশই আসে পাশের বস্তু দেখার জন্য কাজে লাগিয়ে থাকি। দ্বিতীয়ত মানুষের চোখের "resolving power" খুব কম। সামান্য জীব কোষ দেখতে গেলে আণুবীক্ষণিক মাইক্রোস্কোপ এর প্রয়োজন হয়, আর সেখানে বায়ু কে প্রায় সকল ক্ষেত্রে স্বচ্ছ দ্বি-পারমাণবিক গ্যাস ধরা চলে।
বায়ু প্রকৃতপক্ষে বিভিন্ন গ্যাস, ধূলিকণা, ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাস (নগণ্য পরিমাণে) ইত্যাদির অসম মিশ্রণ। তাই বায়ু কে দেখতে গেলে কমপক্ষে একটি ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ প্রয়োজন।
বায়ু কে যে আমরা পুরো পুরি দেখতে পাই না তাও নয়। সূর্যের আলোয় ব্রাউনিয়ান গতিতে রত ধূলিকণা গুলিকে স্পষ্ট দেখা যায়, যা ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুর একটি অন্যতম উপাদান।
এটাও ভাবার বিষয় যে যদি আমরা বায়ু দেখতে পেতাম তা খুব সুখকর হত না। কারণ আপনি যে দিকেই তাকাতেন সব কিছুই আবছা কুয়াশার মতো দেখতে লাগতো।