মোরগ কুকুর কিংবা গাধা সাধারণত ডাক-চিকিৎকার দিয়ে থাকে। এসবের ডাক-চিৎকার সম্পর্কে সমাজে প্রচলিত অনেক কথা রয়েছে। কিন্তু এসবের ডাক-চিৎকারে করণীয় কী? এ সম্পর্কে হাদিসের সুস্পষ্ট নির্দেশনাও রয়েছে।
যদি কোনো লোক ভোর, দিন কিংবা রাতে মোরগের ডাক শুনে তবে তাকে আল্লাহর অনুগ্রহ চাইতে হবে। আর যদি গাধার ডাক-চিৎকার কিংবা কুকুরের ঘেউ ঘেউ চিৎকার শুনে তবে তাকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে হবে। এ সম্পর্কে হাদিসে এসেছে-
> হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, যখন তোমরা মোরগের ডাক শুনবে তখন আল্লাহর অনুগ্রহ প্রার্থনা করবে। কেননা মোরগ ফেরেশতাদের দেখতে পায়।
আর যখন গাধার ডাক শুনবে তখন শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে হবে। কারণ গাধা শয়তানকে দেখতে পায়।’ (মুসলিম)
> অন্য হাদিসে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বর্ণনা করেন, ‘যখন তোমরা কুকুর ও গাধার চিৎকার শুনতে পাও, তখন সেসব থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা কর। কেননা তারা এমন কিছু দেখে থাকে, যা তোমরা দেখতে পাও না।’ (আবু দাউদ, মিশকাত)
মোরগের ডাকে আল্লাহর অনুগ্রহ চাওয়ার ক্ষেত্রে বলতে হবে-
اَللَّهُمَّ اِنِّىْ أَسْئَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিং ফাদলিকা।’
অর্থ : হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার রহমত কামনা করছি।’
গাধা ও কুকুরের ডাকে আশ্রয় প্রার্থনার সময় বলতে হবে-
اَعْوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ
উচ্চারণ : ‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বানির রাঝিম।’
অর্থ : ‘আমি বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় চাচ্ছি।’
হাদিসের ঘোষণা অনুযায়ী মোরগের ডাকের অর্থ হলো ফেরেশতা মানুষের জন্য কল্যাণের সুসংবাদ নিয়ে আসে কিংবা জমিনে বিচরণ করে। তাই মোরগের ডাক শুনলে রহমত ও কল্যাণ লাভের প্রার্থনা করা।
পক্ষান্তরে যদি কুকুরের ঘেউ ঘেউ চিৎকার কিংবা গাধার ডাক শোনা যায় তবে বুঝতে হবে শয়তানের বিচরণ সন্নিকটে। তাই শয়তানের কুমন্ত্রণা ও ক্ষতি হেফাজত থাকতে আল্লাহর আশ্রয় কামনা করা জরুরি।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে মোরগের ডাকে রহমত লাভের এবং কুকুর ও গাধার ডাকে আশ্রয় লাভের প্রার্থনা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।