কুকুর মেরুদন্ডী প্রাণী। মেরুদন্ডী প্রাণীদের মাথার নিচ থেকে কোমর পর্যন্ত লম্বা দন্ডের মত হাড়ের গঠন আছে একে বলে মেরুদন্ড (vertebral column)। মেরুদন্ড অনেকগুলো একক খণ্ড নিয়ে গঠিত এই একক খণ্ড গুলোকে বলে কশেরুকা।
কশেরুকার সংখ্যা প্রাণী ভেদে আলাদা হয়। কশেরুকা গুলোর আবার বিভিন্ন নাম আছে যেমন- গ্রীবাদেশীয় কশেরুকা (cervical vertebrae), বক্ষদেশীয় কশেরুকা (thoracic vertebrae), উদরীয় কশেরুকা (lumbar vertebrae), শ্রোণীদেশীয় কশেরুকা( sacral vertebrae), পুচ্ছদেশীয় কশেরুকা বা কক্কিজিয়াল কশেরুকা (coccygeal vertebrae)।
পুচ্ছদেশীয় কশেরুকার কারণে লেজ সৃষ্টি হয়। পুচ্ছদেশীয় কশেরুকার সংখ্যা যত বেশি হবে লেজ ততো লম্বা হবে। পুচ্ছদেশীয় কশেরুকা কিভাবে যুক্ত আছে তার ওপর নির্ভর করে লেজের আকৃতি। কশেরুকা যদি পিঠের দিকে বাঁকানো ভাবে অবস্থান করে তবে লেজ পিঠের দিকে বাঁকা হবে। এটা দেখতে প্রশ্নবোধক চিহ্নের মত মনে হয়। পেটের দিকে অবস্থান করলে লেজ নিচের দিকে বাকা হবে। কুকুরের লেজের কশেরুকা গুলো পিঠের দিকে বাঁকানো ভাবে অবস্থান করে তাই কুকুরের লেজ বাঁকা।