আগে জেনে নিন কেন রঙের ফারাক হয়। বিজ্ঞানীদের মতে, সাদা ডিম পাড়ে সাদা পালকের মুরগিরা। লাল ডিম পাড়ে গাঢ় রঙের পালকের মুরগি। এই দুই ধরনের মুরগির ক্ষেত্রে কি পুষ্টিগুণ বদলে যেতে পারে?
সম্প্রতি এই নিয়ে গবেষণা চালালেন কর্নেল ইউনিভার্সিটির প্রাণীবিজ্ঞানের ভিজিটিং ফেলো ট্রো ভি বুই এক দৈনিকে জানিয়েছেন, এই দুই ধরনের ডিমে পুষ্টিগত ভাবে বিশেষ কোনো তফাত নেই। তার সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছেন নিউ ইয়র্কের এক দল গবেষকও। তবে তাদের মতে, লাল ডিমে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড একটু বেশি রয়েছে। কিন্তু এই পরিমাণ এতই অল্প যে তাতে খুব একটা ফারাক পড়ে না।
ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ)-র মতে, একটি বড় (৫০ গ্রাম ওজনের) ডিমে ৭২ ক্যালোরি ও ৪.৭৫ গ্রাম ফ্যাট ( যার মধ্যে ১.৫ গ্রাম মাত্র দ্রবণীয়)। সাদা ও লাল ডিমে এই পুষ্টিগুণের পরিমাণ প্রায় এক।
তবে সে কথায় খানিক ভিন্ন সুর মেশালেন পুষ্টিবিদ সুমিত ঘোষ। তার মতে, লাল ডিমে যত টুকু ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি, সেটুকুও তো শরীরের পক্ষে লাভজনকই। তবে সে কথাকে উড়িয়ে দিচ্ছেন দিল্লির পুষ্টিবিদ গীতা মালহোত্র। তার মতে, ওটুকু ফ্যাটি অ্যাসিড সেভাবে আলাদা করে কোনো ভূমিকা পালন করতে পারে না। সুতরাং, দু’ধরনের ডিমের খাদ্যগুণই যে প্রায় সমান— সে কথাই মেনে নিচ্ছে চিকিৎসা মহল।
পুষ্টিগুণ না হয় এক, কিন্তু স্বাদ? গবেষকদের মতে, ডিমের স্বাদ নির্ভর করে মুরগিকে কী ভাবে প্রজনন করানো হচ্ছে এবং মুরগির খাদ্যাভ্যাসের উপর। সুতরাং, লাল হোক বা সাদা— ভালোবেসে ডিম খান নিশ্চিন্তে।
ডিমের রঙের পার্থক্য হয় মুরগির নানা জাতের কারণে। সাধারণত সাদা মুরগির ডিমও সাদা হয়। লালচে কিংবা খয়েরি রঙ এর মুরগীর ডিম হয় লালচে রঙের।
অনেকেরই ধারণা সাদা ডিমের তুলনায় লাল ডিমের খোসা শক্ত। কিন্তু বাস্তবে ডিমের খোসা কতটুকু শক্ত হবে তা নির্ভর করে মুরগির বয়সের ওপরে। কম বয়সী মুরগি খোসা সাধারণত শক্ত হয়। বয়স বাড়তে বাড়তে ডিমের খোসা পাতলা হতে থাকে।