দেশপ্রেম জন্মভূমির জন্য মানুষের এক ধরনের অনুরাগময় ভাবাবেগ। দেশপ্রেম বলতে বোঝায় নিজের জন্মভূমিকে ভালোবাসা।
একজন দেশপ্রেমিক নাগরিকের অনেক গুন থাকতে হয়। নিচে ১০ টি গুন উল্লেখ করা হলোঃ
১.রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা।
২. রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, অখন্ডতা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখার জন্য প্রত্যেক নাগরিককে সর্বদা সজাগ এবং চরম ত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
৩.রাষ্ট্রের প্রচলিত আইন ও সংবিধান মেনে চলা এবং আইনের প্রতি সম্মান দেখানো।
৪.সততা ও সুবিবেচনার সাথে ভোট দেওয়া।
৫.যথাসময়ে কর প্রদান করে রাষ্ট্রীয় কাজে সহযোগিতা করা।
৬.রাষ্ট্রের অর্পিত দায়িত্ব অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করা।
৭.সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠা।
৮.নিজস্ব সংস্কৃতি, রাষ্ট্রীয় অর্জন ও সফলতা এবং সব সময় দেশের মঙ্গল কামনা করা।
৯.জাতীয় সংগীত, জাতীয় ইতিহাস, জাতীয় বীর ও মনীষীদের অবদান কে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা। ভিন্ন সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা, ভিন্নমত মূল্যায়ন করা ও সম্মান করার মধ্য দিয়ে জাতীয় সংহতি অর্জন করা।
১০. মা, মাটি ও দেশের মানুষকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া ও ভালোবাসা।
একজন দেশপ্রেমিক নাগরিক মানে নিশ্চয় স্বাধীন দেশের নাগরিক। তাঁর এই গুণগুলি অবশ্যই থাকা উচিত বা থাকতে হবে।
১) দেশের সংবিধানকে সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া।এমনকি নিজ ধর্ম গ্রন্থের ও উপরে।
২) দেশের পতাকা,প্রতীক ও জাতীয় সংগীতকে শ্রদ্ধা করা।
৩) রাষ্ট্র প্রধান (যে দলের ই হোক না কেন) কে (ব্যক্তিগতভাবে না হলেও পদকে)সম্মান করা।
৪) দেশের আইন মান্য করা।
৫) নিজের ও অন্যান্য সহনাগরিকদের মৌলিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকা।
৬) ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের নাগরিক হলে অপর নাগরিকদের ধর্মীয় অধিকার মনে রাখা।আর ধর্ম রাষ্ট্র হলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত না করা।
৭) নিয়মিত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা।
৮) নিয়মিত কর প্রদান করা।
৯) দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতি সম্পর্কে অবগত থাকা। রাষ্ট্রীয় সম্পত্তির দেখভাল করা ও ক্ষতিসাধন যাতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা।
১০) আন্তর্জাতিক মঞ্চে (মনে যাই থাকুক) দেশের অন্তর্দেশীয় বা আন্তর্জাতিক বিষয়ে বিরূপ মন্তব্য থেকে বিরত থাকা।
১১) অন্য দেশের উন্নতি বা অবনতি দেখে হীনমন্যতায় বা উন্নাসিকতায় না ভুগে নিজের ও নিজদেশের উন্নতির চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।