লবণ বেশি হলে
১. ঝোল–জাতীয় তরকারিতে লবণ বেশি হলে নরম আটার খামির গোল্লা করে এর মধ্য দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটালে তরকারির লবণ অনেকাংশে কমে যাবে। তরকারির ধরন বুঝে আলু, ডাঁটা, বেগুন, টমেটো, যেকোনো প্রকারের শাক, তেঁতুল, বেরেস্তা, লেবুর রস, টক দই, দুধ, মালাই, চিনি ইত্যাদি ব্যবহার করা যায়। যেমন কুমড়োর বড়ি তেলে ভেজে তরকারির ঝোলের মধ্যে দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটালে লবণ অনেকাংশে কমে যাবে। ওদিকে তরকারির স্বাদও বেড়ে যাবে।
২. ভুনা বা দোপেঁয়াজিতে লবণ বেশি হলে টক দই, বেরেস্তা, ক্রিম, টমেটো সস ও চিনি ব্যবহার করা যায়। কাবাব–জাতীয় খাবারে লবণ বেশি হলে লেবুর রস, ধনেপাতা, পেঁয়াজকুচি, পুদিনাপাতাকুচি, কাঁচা মরিচকুচি, টমেটোকুচি, পাউরুটিকুচি, ব্রেডক্রাম্ব ব্যবহার করা যায়।
৩.ভাজি–জাতীয় খাবার, যেমন আলুভাজিতে লবণ বেশি হলে ব্যবহার করতে পারেন কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজকুচি, ধনেপাতা ইত্যাদি।
হলুদ বেশি হলে
১. তরকারিতে হলুদের পরিমাণ বেশি হলে ঝোলে তেজপাতা, যেকোনো প্রকারের শাক, নরম খামির করা আটার গোল্লা, ডাঁটা, বড়ি ইত্যাদি দেওয়া যায়। আগের দিনে, মানে দাদি-নানিদের আমলে তরকারিতে হলুদ বেশি হলে লোহার খুন্তি গরম করে ঝোলের মধ্যে কিছুক্ষণ রেখে দেওয়া হতো। এতে হলুদের অংশ অনেক কমে যায়। গোটা সুপারি অর্ধেক করে কেটে তরকারির ঝোলে দিয়ে দিলেও হলুদ কমানো যায়। এ ছাড়া পাটখড়ি দিলেও তরকারিতে হলুদের ভাগ অনেকাংশে কমে যায়।
ঝাল যদি বেশি হয়
তরকারিতে ঝালের পরিমাণ বেশি হলে তরকারির ধরন বুঝে দুধ, টক দই, লেবুর রস, বাদামবাটা, মালাই, চিনি, টমেটো সস ইত্যাদি দিয়ে ঝাল কমিয়ে ফেলতে পারেন।