You can also earn money by answering questions on this site Find out the details

Categories

Sister Links: -- Nishiddho--BDLove24--Cerapatabd ....
107 views
in সাধারণ জ্ঞান by Earnings: 0.071 Usd (66 points)

1 Answer

0 like 0 dislike
পাতাল রেলের যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ঢাকার বিমানবন্দর ও কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনকে যুক্ত করবে এ রেলপথ। কুড়িল-রামপুরা-রাজারবাগ মহাসড়কের ১০ মিটার নিচ দিয়ে নির্মাণ করা হবে এটি। একই রেলপথের আরেকটি উড়াল অংশ নির্মাণ করা হবে নতুনবাজার-পূর্বাচলের মধ্যে।

আগামী বছরের মার্চে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের প্রথম রেলপথটির নির্মাণকাজ শুরুর কথা গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। ব্যয়বহুল এ পাতাল রেলপথের কিলোমিটারপ্রতি নির্মাণ ব্যয় ১ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা।

ডিপো নির্মাণের মধ্য দিয়ে ২০২২ সালের মার্চে পাতাল রেলপথটির নির্মাণকাজ শুরুর কথা গতকাল সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সরকারের সাবেক সচিব এমএএন ছিদ্দিক। তিনি বলেন, ১২টি প্যাকেজে ভাগ করে ‘এমআরটি লাইন-১’ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হবে। প্রথম প্যাকেজে রয়েছে ডিপোর ভূমি উন্নয়ন করে আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ। ১০ জুন এর দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে। এর ছয় মাসের মধ্যে অর্থাৎ ২০২২ সালের মার্চের দিকে

নির্মাণকাজ শুরুর ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। পর্যায়ক্রমে অন্য প্যাকেজগুলোর দরপত্র আহ্বান করে নির্মাণকাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে শুরু করা হবে।

পাতাল রেলপথটির মূল কাজ একসঙ্গে চারটি পয়েন্ট থেকে শুরুর কথা জানিয়েছেন ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তারা। বিমানবন্দর, কমলাপুর, নতুনবাজার ও কুড়িল অংশে একই সঙ্গে শুরু হবে নির্মাণকাজ। বর্তমানে ঢাকার উত্তরা-মতিঝিলের মধ্যে একটি মেট্রোরেল লাইনের কাজ চলমান, যার কারণে গুরুত্বপূর্ণ একাধিক মহাসড়কে তীব্র যানজট হচ্ছে। এমন অবস্থায় দ্বিতীয় মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ শুরু হলে তা ঢাকার যানজট পরিস্থিতি আরো খারাপ করে তুলবে কিনা এমন প্রশ্নে এমআরটি লাইন-১-এর প্রকল্প পরিচালক সাইদুল হক বলেন, পাতাল রেলপথটি নির্মাণ করা হচ্ছে কুড়িল-রামপুরা-রাজারবাগ মহাসড়কের ১০ মিটার নিচে। পাতাল অংশটিতে যে ১২টি স্টেশন নির্মাণ করা হবে, সেসব এলাকায় প্রথম ছয় মাস যানবাহন চলাচলে কিছুটা সমস্যা হতে পারে। তবে ছয় মাসের মধ্যে আমরা পাতাল অংশে নির্মাণকাজ চলমান রেখে উপর দিয়ে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করে দিতে পারব। স্টেশন বাদে আর কোথাও সড়কের উপরে কাজ করা হবে না। অত্যাধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করে সড়কের নিচে টানেল করে রেলপথ তৈরি করা হবে। ফলে নির্মাণকাজ চলাকালে যানবাহন চলাচলে কোনো সমস্যা হবে না।

২০২৬ সালে যাত্রী পরিবহন শুরু হওয়ার কথা রেলপথটিতে। ২০ কিলোমিটার পাতাল ও ১১ কিলোমিটার উড়াল অংশে চলাচল করবে ২৫টি ট্রেন। ঢাকার প্রথম মেট্রোরেলের জন্য আনা ট্রেনগুলোয় ছয়টি করে কোচ থাকলেও পাতাল রেলপথের একেকটি ট্রেনে আটটি করে কোচ থাকবে। বিমানবন্দর-কমলাপুরের পাতাল অংশে নির্মাণ করা হবে ১২টি স্টেশন। এসব স্টেশন থেকে প্রতি আড়াই মিনিটে একটি ট্রেন ছেড়ে যাবে। একেকটি ট্রেনে যাতায়াত করতে পারবেন তিন হাজারের বেশি যাত্রী। পাতালপথে চলা ট্রেনগুলোর সর্বোচ্চ গতি হবে ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার। অন্যদিকে নতুনবাজার-পূর্বাচল অংশে নয়টি স্টেশন থাকবে। ট্রেন ছাড়বে প্রতি ৪ মিনিট ৪০ সেকেন্ড পর। সব মিলিয়ে প্রায় ৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথটিতে প্রতিদিন আট লাখ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। উড়ালপথে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার গতিতে চলবে ট্রেন।

ভূমি অধিগ্রহণ, ডিপো নির্মাণ, ট্রেন সংগ্রহসহ পাতাল-উড়াল রেলপথটি নির্মাণে সব মিলিয়ে খরচ হচ্ছে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। এখন পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এ মেট্রোরেল প্রকল্পে অর্থায়ন করছে জাইকা।
by Earnings : 7.67 Usd (6,723 points)

Related questions

-- Payment Method & Thresholds--Referral Program--Help--
-- FAQ --- Terms --DMCA ---Contact Us --
Language Version--English --Bengali ---Hindi ---
...