অসুবিধাঃ চাকরির শুরুতে আপনাকে পোস্টিং দিবে প্রান্তিক কোন এলাকায়। ধরেন আপনি ঢাকায় ছোট থেকে লেখাপড়া করে বেড়ে উঠেছেন,আপনার হোম ডিস্ট্রিক্ট শেরপুর জেলা,আপনাকে নিয়োগের জন্য সুনামগঞ্জের তাহিরপুর শাখায় জয়েন করতে বলা হবে।প্রান্তিক এলাকায় ব্যাংকের পরিবেশ ঢাকার বেসরকারি ব্যাংকের মতো না।এসি নাই,পশ কোন কিছুই নাই।এর পর সকল রকম শ্রেনির গ্রাহকেরা আসবে।ভিক্ষুকও আসে,হিজরাদের ভাতার টাকা নিতে তারা ও আসে।সরকারের অনেক অনেক কাজ-সার্ভিস দিতে হয়,কোন রকম সার্ভিস চার্জ/ফি ছাড়াই। সকলেই আপনাকে চিনবে।অনেক অনেক টাকার মাঝে থেকে যারা লোভ সামলাতে পারে না,তাদের জন্য ব্যাংকের জব মরনফাদ।কোটি কোটি টাকার মাঝে থেকে আপনার কাজ করতে হবে,নিয়মিত রুলস রেগুলেশনের মাঝে থেকে জীবন যাপন করে যেতে হবে,অনেকেই লোভে পরে বিপদ ডেকে আনে।যে কোন ক্যাশ তসরুফ হলে পকেটের টাকা দিয়ে তা মিলিয়ে হিসেব ক্লোজ করে বের হতে হবে।সময় মতো প্রমোশন অনেক ব্যাংকে হয় না।এটা অবশ্য অনেকটা ভাগ্যের উপর নির্ভর করে। জয়েন এর পরে বুঝতে পারবেন।বড় কোন প্রজেক্ট ঋণ প্রদানের জন্য না শিল্প ঋণ দেয়ার জন্য অনেক সময় প্রভাবশালী মহলের চাপে পরে ঋণ প্রদান করতে হয়।প্রভাবশালী মহলের চাপে পরে ভুয়া এল সি খুলে ও ঋণ ছার করণ করতে হয়।আপনারা এখন প্রায় ই পত্রিকায়-নিউজে দেখেন যে সব/বিদেশে টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে,টাকা পাচার করে দিচ্ছে।সেগুলো মূলত এই আমদানি-রফতানি বানিজ্যের মাধ্যমে হয়ে থাকে।
সুবিধাঃ লাঞ্চ ভাতা পাবেন,২০০ টাকা প্রতি কার্যদিবসেই ।৫ বছর পরে হোম লোন পাবেন প্রায় এক কোটি টাকা।কাজে লাগাতে পারলে চাকরির ৫ বছরের সময় নিজের বাড়িতে থাকবেন।এজিএম হলে গাড়ির লোন পাবেন,মেইন্টেনেন্স খরচ পাবেন।ক্রেডিট কার্ডের সুবিধাজনক স্কিম পাবেন।পারসোনাল লোন পাবেন,যে কোন সময়। যে কোন শহরে সম্মানের সাথে বসবাসরত থাকতে পারবেন,যদি হিসেব করে চলতে পারেন। বাংলাদেশ ব্যাংক এর সুযোগ সুবিধা আরো বেশি,বিদেশে পড়তে যেতে পারবেন,ট্রেইনিং এ বিদেশে যেতে পারবেন।কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে সব চেয়ে সুযোগ বেশি বাংলাদেশ ব্যাংক এর।
এটা পরে যুক্ত করলামঃঃআপনি ৫৯ বছর বয়সের পরে রিটায়ার করবেন,পেনশন পাবেন।সরকারি অন্য সকল চাকরির মতো পেনশন পাবেন।আপনি মারা গেলে আপনার স্ত্রী, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে স্বামী পেয়ে যাবেন যতদিন তারা জীবিত থাকেন।প্রতিবন্ধী সন্তান ও পাবেন।এখানে প্রাপ্তির নিয়ম সরকারি অন্যান্য দপ্তরের ন্যায়।