একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ক্লিনিক্যালি পরিক্ষা-নিরিক্ষা করে ও রোগীর ইতিহাস জেনে রোগ নির্ণয় করতে পারেন, তবে অনেক সময় কিছু প্যাথলজিক্যাল ও রেডিওলজিক্যাল পরীক্ষা করার প্রয়োজন পড়ে । যেমন:
১। কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট উইথ ইএসআর
২। এক্স-রে অফ টিএম (টেম্পরো-মেন্ডিবুলার) জয়েন্ট
৩। নার্ভ কন্ডাকশন ভেলসিটি (এনসিভি) অফ ফেসিয়াল নার্ভ ইত্যাদি।
ফেসিয়াল পালসি বা বেলস পালসি’র চিকিৎসা কি?
এই রোগের চিকিৎসা কারনের উপর নির্ভর করে। ঔষধ কারন অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন, তবে সবক্ষেত্রেই ঔষধের পাশাপাশি চিকিৎসা হলো ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা।
এই রোগে একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক রোগীর অবস্থা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ট্রিটমেন্ট প্লান করে থাকে তার মধ্যে
- প্রোপ্রাইওসেপ্টিভ নিউরো মাস্কুলার ফ্যাসিলিটেশন
- ইনফ্রা রেড রেডিয়েশন থেরাপি
- ইলেকট্রিক্যাল ইস্টিমুলেশন থেরাপি
- এক্টিভ ও প্যাসিভ ফ্যাসিয়াল মাসল এক্সারসাইজ
- স্পীচ রি-এডুকেশন থেরাপি
- ব্যালুনিং এক্সারসাইজ
- রিঙ্কলিং এক্সারসাইজ ইত্যাদি
রোগীর কি কি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত ?
চিকিৎসা চলাকালীন রোগীর কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে।
যেমন:
১। ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে
২। আইস্ক্রিম ও ফ্রিজের ঠান্ডা খাবার খাওয়া যাবে না
৩। বাহিরে বা রোদ্রে গেলে চোখে সানগ্লাস ব্যাবহার করতে হবে যেন আক্রান্ত চোখে ধুলাবালি ঢুকতে না পারে ।
৪। রাতে ঘুমানোর সময় আক্রান্ত চোখের উপর রুমাল বা নরম কাপড় দিয়ে রাখতে হবে যাতে কোন কিছু চোখের মধ্যে না পড়ে ।
৫। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যায়াম করতে হবে ।