আপনার রক্তের গ্রুপ জানা থাকলে হঠাৎ একজন মৃত্যুমুখী মানুষকে রক্তদিয়ে বাঁচানো সম্ভব হতে পারে। আমাদের জীবনে নানা দুর্ঘটনায় একজনের শরীর হতে অন্যজনের শরীরে রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন দেখা দিতে পারে। যেমন দুর্ঘটনায় আহতের অত্যাধিক রক্তক্ষরণ, সন্তান জন্ম দানকালে, মেয়েলি রোগ লিউকোমিয়া, ক্যান্সার, অপারেশনের সময় প্রচুর রক্তের প্রয়োজন হয়। রক্তের গ্রুপ জানা থাকলে একজন মানুষ অনায়াসে রক্তদান করতে পারে।
♣♣ একজন সুস্থ সবল পূর্ণবয়স্ক মানুষ প্রতি চার মাস পর পর রক্ত দিতে পারেন। এতে শরীরের কোন ক্ষতি হয় না। আবার রক্ত পরীক্ষা বা গ্রুপ না জেনে রক্ত গ্রহণ করা যাবে না। কোনো সংক্রামক রোগীর রক্ত গ্রহণ করা যাবে না। যেমন এইডস, সিফিলিস, যক্ষ্মা, হেপাটাইটিস বি ইত্যাদি। তবে মনে রাখবেন কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া রক্ত দেওয়া বা নেওয়া কোনোটাই করা যাবে না।
♣♣সতর্কতাঃ কোনো নেগেটিভ গ্রুপের ব্যক্তিকে পজিটিভ গ্রুপের রক্ত দেওয়া হয় তখন প্রথমবার গ্রহীতার দেহে সিমিত প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তবে এতে রোগীর শরীরে জয পজেটিভ এর এন্টিজেনের বিপরীত অ্যান্টিবডি উৎপন্ন হয়। যার ফলে ঐ রোগীর আবার কখনো যদি পজিটিভ গ্রুপের রক্ত নেয় তবে তার রক্তের কোষগুলো ভেঙে যাবে। এ কারণে কাঁপুনি, জ্বর কিংবা কিডনি অকেজো হয়ে যেতে পারে। মারাত্মক শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।
♣♣স্বামী-স্ত্রীর আদর্শ রক্তের গ্রুপঃ স্বামীর রক্তের গ্রুপ যদি পজিটিভ হয় তাহলে স্ত্রীরও পজেটিভ হলে ভাল। আবার যদি স্বামীর রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ হয় তাহলে স্ত্রীর পজেটিভ বা নেগেটিভ যে কোন একটি হলেই হবে। অর্থাৎ নেগেটিভ স্ত্রীর স্বামী সর্বদাই নেগেটিভ হলে ভাল হয়। তবে স্বামীর গ্রুপ যদি পজেটিভ হয় তাহলে প্রথম সন্তান জন্ম নেয়ার আগেই বা সাথে সাথে তার রক্তের গ্রুপ জানা জরুরী। কারণ বাচ্চা পজিটিভ গ্রুপের হলে ওকে ভাল মত ডাক্তারের পরামর্শ মত বিশেষ চিকিৎসা দিতে হতে পারে । আর মাকেও এন্টি ডি নামক এন্টিবডি ইন্জেকশন দিতে হয়। স্বামী স্ত্রী রক্তের কোন সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। তাই রক্তের গ্রুপ জেনে নিন আপনার অনাগত শিশুকে সুষ্ঠু সুন্দর সোনালী দিন উপহার দিন।