You can also earn money by answering questions on this site Find out the details

Categories

Sister Links: -- Nishiddho--BDLove24--Cerapatabd ....
68 views
in সাধারণ by (-14 points)

1 Answer

0 like 0 dislike
যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় অক্সিজেনের উপস্থিতিতে বা অনুপুস্থিতিতে খাদ্যের জারণের ফলে খাদ্য স্থৈতিকশক্তি গতি শক্তিতে রূপান্তরিত হয় ও মুক্ত হয় তাকে শ্বসন বলে।
শ্বসনের বৈশিষ্ট্য

1) শ্বসন একপ্রকার অপচিতি বিপাক। কারণ এই প্রক্রিয়ায় জটিল খাদ্যবস্তু সরল উপাদানে পরিণত হয় এবং দেহের শুষ্ক ওজন হ্রাস পায়।

2) শ্বসন একটি তাপমোচী প্রক্রিয়া ।
শ্বসন স্থান ও শ্বসন অঙ্গাণু

এককোষী থেকে বহুকোষী সমস্ত ধরনের জীব দেহের প্রতিটি সজীব কোষে শ্বসন দিনরাত ঘটে। শ্বসনের অধিকাংশ রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলি মাইট্রোকন্ডিয়াতে ঘটায় মাইটোকনড্রিয়াকে কোষের শক্তিঘর বলা হয়।
শ্বসনে উৎপন্ন তাপ শক্তি ও ATP অনু

1 গ্রাম অনু গ্লুকোজ সম্পূর্ণরূপে জারিত হয়ে প্রায় 668 কিলোক্যালরি তাপশক্তি উৎপন্ন হয়। শ্বসনের গ্লাইকোলাইসিস প্রক্রিয়ায় 2 অনু ATP এবং ক্রেবসচক্র প্রক্রিয়ায় 36 অনু ATP অর্থাৎ মোট 38 অনু ATP উৎপন্ন হয়।
শ্বসনের পদ্ধতি
গ্লাইকোলাইসিস:

এই প্রক্রিয়ায় কোষের সাইটোপ্লাজমে অক্সিজেনের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতিতে উৎসেচকের প্রভাবে গ্লুকোজ আংশিকভাবে জারিত হয়ে 2 অনু পাইরুভিক অ্যাসিড এবং 2 অনু ATP উৎপন্ন হয়। এম্বডেন, মেয়ারহফ, এবং পারনেস নামক বিজ্ঞানী প্রথম এই প্রক্রিয়াটি পর্যবেক্ষণ করেন বলে গ্লাইকোলাইসিস পদ্ধতি EMP পথ নামে পরিচিত।
ক্রেবস চক্র:

এটি কোষের মাইট্রোকন্ডিয়ায় অক্সিজেনের উপস্থিতিতে ঘটে। ইংরেজ প্রাণ-রসায়নবিদ হ্যানস ক্রেবস 1937 খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম এই প্রক্রিয়াটি পর্যবেক্ষণ করেন বলে তাঁর নাম অনুসারে এই চক্রকে ক্রেবস চক্র বলে। এই পর্যায়ে পাইরুভিক অ্যাসিড সম্পূর্ণরূপে জারিত হয়ে কার্বন-ডাই-অক্সাইড, জল ও শক্তি উৎপন্ন করে। ক্রেবসচক্রে প্রথম উৎপাদিত জৈব যৌগটি হল সাইট্রিক অ্যাসিড যার মধ্যে 3টি কার্বক্সিল গ্রুপ থাকে। তাই ক্রেবসচক্রকে ট্রাই কার্বক্সিলিক অ্যাসিড চক্র বা TCA চক্র বলা হয়।

অক্সিডেটিভ ফসফোরাইলেশন= যে প্রক্রিয়ায় জৈব যৌগের জারণের ফলে উচ্চশক্তিসম্পন্ন ফসফেট যৌব অ্যাডিনোসিন ট্রাইফসফেট (ATP) সংশ্লেষিত হয়, তাকে অক্সিডেটিভ ফসফোরাইলেশন বলে। এটি মূলত মাইটোকনড্রিয়ায় সংঘটিত হয়।
শ্বসনের প্রকারভেদ

শ্বসন সাধারনত দুই প্রকারের হয়ে থাকে। সেগুলি হল 1) সবাত শ্বসন 2) অবাত শ্বসন
সবাত শ্বসন কাকে বলে?

যে শ্বসন পদ্ধতিতে বায়ুজীবী জীবকোষে শ্বসনবস্তু (গ্লুকোজ) মুক্ত অক্সিজেনের উপস্থিতিতে সম্পূর্ণরূপে জারিত হয়ে জল ও কার্বন ডাই অক্সাইডে পরিণত হয় এবং শ্বসন বস্তুমধ্যস্থ স্থৈতিক শক্তি গতিশক্তি রুপে সম্পূর্ণরূপে নির্গত হয়, তাকে সবাত শ্বসন বলে।

এককোষী আমিবা থেকে শুরু করে উন্নত শ্রেণীর বহুকোষী উদ্ভিদ এবং প্রাণীদেহের প্রতিটি সজীব কোষে সবাত শ্বসন হয়। 1 গ্রাম অনু গ্লুকোজ থেকে 686 কিলোক্যালরি শক্তি উৎপন্ন হয়। এই প্রক্রিয়াটি কোষের সাইটোপ্লাজম ও মাইট্রোকন্ডিয়া সংঘটিত হয়।
অবাত শ্বসন কাকে বলে?

যে শ্বসন পদ্ধতিতে অবায়ুজীবী জীবকোষে ( যে সকল জীবশ্বসনন ক্রিয়ার জন্য পরিবেশের মুক্ত অক্সিজেন গ্রহণ করে না। যেমন ডিনাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়া, ইস্ট, মনোসিস্টিস, কৃমি) মুক্ত অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে শ্বসনবস্তু (প্রধানত গ্লুকোজ) অক্সিজেন যুক্ত যৌগের (যেমন নাইট্রেট, কার্বনেট, সালফেট ইত্যাদি) অক্সিজেন কর্তৃক জারিত হয়ে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের ও জলে পরিণত হয় এবং শ্বসন বস্তুর মধ্যস্থ শক্তির আংশিক নির্গমন ঘটে, তাকে অবাত শ্বসন বলে 1 গ্রাম অনু গ্লুকোজ থেকে 50 কিলোক্যালোরি তাপশক্তি উৎপন্ন হয়। এটি কোষের সাইটোপ্লাজম এর ঘটে।
by Earnings : 7.67 Usd (6,719 points)

Related questions

-- Payment Method & Thresholds--Referral Program--Help--
-- FAQ --- Terms --DMCA ---Contact Us --
Language Version--English --Bengali ---Hindi ---
...