কুকুরের লালা থেকেও মৃত্যু হতে পারে? ইউরোপিয়ান জার্নাল অব কেস রিপোর্টসে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, এক বিরল জীবাণুঘটিত সংক্রমণের ফলেই তার মৃত্যু হয়েছে। কুকুরের লালায় থাকা ক্যাপনোসাইটোফ্যাগা ক্যানিমোরসাস নামের জীবাণু ক্ষতের মধ্য দিয়ে তার রক্তে প্রবেশ করে। আর তার ফলেই ঘটে সংক্রমণ।
কুকুর ক্ষত চেটে দেয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই জ্বর হয় ওই ব্যক্তির। শুরু হয় গায়ে প্রচণ্ড যন্ত্রণা। প্রায় তিন দিন পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তার চিকিৎসা শুরু হলেও ক্রমশই অবস্থার অবনতি হতে থাকে।
চিকিৎসকরা জানান, তার শরীরের একাধিক অঙ্গ একে একে বিকল হতে থাকে। মস্তিষ্কের কোষও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হাসপাতালে থাকাকালে তার পায়ের ক্ষত আশপাশ থেকে পচন ধরে যায়। প্রবল শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকেন ওই ব্যক্তি। একে একে বিকল হয়ে যায় লিভার, হৃৎপিণ্ড ও মস্তিষ্কসহ শরীরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তার।
চিকিত্সকরা জানান, এ ধরনের সংক্রমণ খুবই বিরল। তবে ক্যাপনোসাইটোফ্যাগা ক্যানিমোরসাসের সংক্রমণ হলে ২৮ থেকে ৩০ শতাংশ সময়েই রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয় না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনো ক্ষতস্থানে কুকুর যাতে না চাটে, সে বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
ইউরোপিয়ান জার্নাল অব কেস রিপোর্টসে চিকিত্সক নাওমি ম্যাডার লিখেছেন, হঠাৎ একটানা জ্বর হলে ও বাড়িতে পোষ্য থাকলে দেরি না করে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।