You can also earn money by answering questions on this site Find out the details

Categories

Sister Links: -- Nishiddho--BDLove24--Cerapatabd ....
56 views
in ধর্ম ও আধ্যাত্মিক বিশ্বাস by (-14 points)

1 Answer

0 like 0 dislike
আকাইদ শব্দের অর্থ বিশ্বাস মালা। এর মানে ইসলামের মূল বিষয়গুলোর ওপর মনেপ্রাণে বিশ্বাস করা কেই আকাইদ বলে।
ইসলামের মূল বিষয় বলতে তাওহীদ রেসালাত ও আখিরাত আসমানী কিতাব ফেরেশতা ইত্যাদির উপর বিশ্বাস স্থাপন করার নাম আকাইদ।
ইসলামের মূল বিষয় গুলোর উপরে বিশ্বাস স্থাপনকারীর নাম মুসলিম।
২। তাওহীদের বিশ্বাস এর প্রয়োজনীয়তা:
তাওহীদ শব্দের অর্থ একত্ববাদ। মহান আল্লাহ তায়ালা এক ও অদ্বিতীয় সত্তা হিসেবে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করার নামই হলো তাওহীদ।
আল্লাহ এক অদ্বিতীয় তাঁর কোন শরীক নেই তিনি স্বয়ংসম্পূর্ণ তিনি আমাদের রক্ষক সৃষ্টিকর্তা পালনকর্তা রিজিকদাতা তিনি অনাদি অনন্ত তার সমকক্ষ সমতুল্য কিছুই নেই।
তিনি সকলের একমাত্র মাবুদ। সকল প্রশংসা ও ইবাদত একমাত্র আল্লাহরই প্রাপ্য। মনেপ্রাণে এরূপ বিশ্বাসকে তাওহীদ বলা হয়।
একজন মুমিনের আখিরাতে এবং পৃথিবীতে হেদায়েত প্রাপ্ত হওয়ার জন্য তাওহীদ বিশ্বাস এর প্রয়োজনীয়তা অনেক:
আকাইদের প্রথম বিধান:
তাওহীদ বিশ্বাস আকাইদের প্রথম ও সর্ব প্রধান বিধান। তাওহীদে বিশ্বাস না করলে একজন ব্যক্তি ইমানদার ব্যক্তি কখনোই আকাইদ সম্পন্ন হবে না।
তাওহীদ বা একত্ববাদের বিশ্বাসের পর আকাইদের অন্যান্য বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপন করতে হয়।
হিদায়াত প্রাপ্তি:
মহান আল্লাহ তায়ালা হেদায়েত প্রাপ্তির জন্য মানুষকে তাওহীদে বিশ্বাস করতে হবে। যুগে যুগে নবী রাসূলগণ পৃথিবীতে এসে আল্লাহ তা’আলার একত্ববাদ এর বাণী প্রচার করেছে।
সকল নবী রাসূলের মূল বানিয়েছিল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই। সুতরাং হিদায়াত প্রাপ্তির জন্য অবশ্যই একজন মানুষকে তাওহীদে বিশ্বাস করতে হবে।
দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা প্রাপ্তি:
আল্লাহ তা’আলার একত্ববাদ অর্থাৎ তাওহীদের বিশ্বাস মানুষকে দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা প্রাপ্তিতে সহযোগিতা করে। যে মানুষ আল্লাহর একত্ববাদের বিশ্বাস করে সে কখনোই কোন খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়ে না ফলে সে দুনিয়া ও আখেরাতের কামিয়াবী লাভ করে।
জাতিগত ভেদাভেদ থেকে বিরত থাকা:
তাওহীদে বিশ্বাসী ব্যক্তিগণ অবশ্যই আল্লাহর একত্ববাদের বিশ্বাস করে তার মানে তাওহীদে বিশ্বাসী ব্যক্তি অবশ্যই মনে করেন সকল মানুষই আল্লাহর সৃষ্টি। সুতরাং মানুষের মানুষের জাতিগত ভেদাভেদ তৈরি করে না তাওহীদের বিশ্বাসী ঈমানদারগণ। ফলে মানুষের মধ্যে জাতিগত ভেদাভেদ তৈরি হয় না। মানুষ পরস্পর ভ্রাতৃত্ব সহমর্মিতায় উদ্বুদ্ধ হয়।
সফলতা প্রাপ্তি:
তাওহীদে বিশ্বাসীগণ এক আল্লাহ তায়ালার প্রতি নির্ভরশীল। সকল কাজেই তারা আল্লাহ তায়ালার উপর এককভাবে নির্ভর করে। এর ফলে বিপদে-আপদে দুঃখে কষ্টে মানুষ হতাশ বা নিরাশ হয় না বরং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে পূর্ণদমে কাজ করতে থাকে এবং সফলতা লাভ করে। এভাবে তৌহিদী বিশ্বাস মানুষকে দুনিয়ার জীবনে শান্তি ও সফলতা দুয়ার খুলে দেয়।
নিয়ম-শৃঙ্খলা শিক্ষা:
আমাদের বিশ্বজগৎ গ্রহ-নক্ষত্র ছায়াপথ নীহারিকা গ্যালাক্সি সবকিছুই এক নিয়মে ঘুরছে। এই সকল নিয়ম আল্লাহ তায়ালারই সৃষ্টি। তাওহীদে বিশ্বাসীগণ আল্লাহ তায়ালার প্রদত্ত সকল জিনিসের নিয়ম-শৃঙ্খলা অনুসরণ করে নিজেরা নিয়ম-শৃঙ্খলা লাভ করে। এবং ব্যক্তিগত সামাজিক জীবনে উন্নতি লাভ করে।
এই প্রবন্ধের মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম মানুষের জীবনে দুনিয়া ও আখেরাতের কামিয়াবী লাভ করার জন্য তাওহীদে বিশ্বাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
৩। কুফরীর পরিনাম ব্যাখ্যা:
যারা তাওহীদের বিশ্বাস করে না অর্থাৎ আল্লাহ তা’আলার একত্ববাদ কে অস্বীকার করে তাদের তাকেই কুফরি বলে। যারা কুফরী করে তাদেরকে কাফের বলে অভিহিত করা হয়।
কুফরীর কুফল ও কুফরীর পরিনাম:
কুফর এর কুফল ও পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ। এটি নৈতিকতা ও মানবিক আদর্শের বিপরীত। কেননা আল্লাহ তাআলা আমাদের শ্রষ্ঠা। তিনি আমাদের রিজিকদাতা, পালনকর্তা ও রক্ষা কর্তা।
সুতরাং মহান আল্লাহকে অবিশ্বাস করা কিংবা তার বিধান অস্বীকার করা কোনক্রমেই উচিত নয়। এগুলো অকৃতজ্ঞতার শামিল। কুফর এর কুফল ও কুফরীর পরিনাম নিয়ে আলোচনা করা হলো-
১. জাহান্নাম প্রাপ্তি-
যারা কুফরী করে অর্থাৎ আল্লাহর একত্ববাদের বিশ্বাস করে না তারা জাহান্নামে নিমজ্জিত হবে যেখানে তারা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি ভোগ করবে।
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
“আর যারা কুফরী করে এবং আমার নিদর্শনগুলো মিথ্যা প্রতিপন্ন করে তারাই জাহান্নামের অধিবাসী।
তারা সেখানে চিরকাল থাকবে। (সূরা আল বাকারা, আয়াত-৩৯)
২. ঈমান না থাকা:
যারা কুফরী করে বা আল্লাহর একত্ববাদের বিশ্বাস করে না তারা ঈমানদার থাকে না।
কুফর এর সাথে জড়িত ব্যক্তিদের কে কোন ভাবেই ঈমানদার বলা যায়না।
কখনো কোনোভাবে কোহলির সাথে জড়িত হলে ঈমান চলে যায় এবং সাথে সাথে পুনরায় ঈমান আনতে হয়।
এখন আমরা অ্যাসাইনমেন্ট এর চতুর্থ প্রশ্ন শিরকের কুফল ও পরিণতি নিয়ে আলোচনা করবো।
৪। শিরকের কুফল ও পরিণতি:
শিরক শব্দের অর্থ অংশীদার সাব্যস্ত করা বা সমকক্ষ মনে করা।
ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় আল্লাহ তায়ালার সাথে অন্য কিছুকে অংশীদার করা বা সাব্যস্ত করা কি শিরক বলে।
শিরকের কুফল ও পরিণতি:
শিরক একটি অত্যন্ত জঘন্যতম অপরাধ। আল্লাহ তায়ালা বলেন- “নিশ্চয়ই শিরক চরম জুলুম” (সূরা লোকমান, আয়াত-১৩)
১. আল্লাহর সাথে অন্যায়:
শিরক-কারী আল্লাহ তা’আলার একত্ববাদ এর সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
সে আল্লাহর সাথে অন্যান্য সমকক্ষ তৈরি করে। তাই শিরক আল্লাহ তা’আলার সাথে এক রকম অন্যায় করা।
২. মর্যাদাহানি:
শিরক মানুষের জন্য মর্যাদাহানিকর একটি কাজ।
মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত অথচ শিরক-কারী রাজার সৃষ্টির কাছে নিজেদের মাথা নত করে যাতে তাদের মর্যাদাহানি হয়।
৩. ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ:
মহান আল্লাহ তায়ালা শিরকের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের ক্ষমা করেন না। শিরকের পরিণত দ্বন্দ্ব ভয়াবহ। আল্লাহ তায়ালা বলেন –
“নিশ্চয়ই আল্লাহ তার সাথে শিরক করার অপরাধ ক্ষমা করেন না।
তা ব্যতীত অন্য যে কোন পাপ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন” (সূরা আন নিসা, আয়াত ১১৬)
আকাইদ তাওহীদ বিশ্বাস কোভিদ পরিণাম শিরকের কুফল ও পরিণতি নিয়ে এই ছিল আমাদের আজকের আয়োজন।
by Earnings : 7.67 Usd (6,719 points)

Related questions

-- Payment Method & Thresholds--Referral Program--Help--
-- FAQ --- Terms --DMCA ---Contact Us --
Language Version--English --Bengali ---Hindi ---
...