You can also earn money by answering questions on this site Find out the details

Categories

Sister Links: -- Nishiddho--BDLove24--Cerapatabd ....
62 views
in সাধারণ জ্ঞান by (-26 points)

1 Answer

0 like 0 dislike
লোহিত রক্তকণিকা (ইরাথ্রোসাইট)

লোহিত রক্তকণিকা রক্তের সর্বপ্রধান কোষ বা কণিকা যা মেরুদণ্ডী প্রাণীদের ফুসফুস থেকে দেহের কলাগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহের প্রধান মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। হিমোগ্লোবিনের মাধ্যমে ফুসফুস বা ফুলকার মধ্যকার কৈশিক নালির মধ্যে সংবহণের সময় শ্বাসবায়ু থেকে লোহিত রক্তকণিকাতে অক্সিজেন সংগৃহিত হয় এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড পরিত্যক্ত হয়। অন্যান্য কলায় কৈশিকনালীর মাধ্যমে রক্ত সংবহনের সময় লোহিত রক্তকণিকা থেকে অক্সিজেন কোষে স্থানান্তরিত হয় এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড বিপরীতে অর্থাৎ লোহিত রক্তকণিকাতে প্রবাহিত হয়। এই কণিকার আয়ু ১২০ দিন। পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় এভাবে এরা পুনরায় মনোপোটেন্ট স্টেম সেল প্রস্তুত করে ও তৈরি হয়। তারা শ্বেত রক্তকণিকার সাথে দেহের কোষের প্রতিরক্ষার কাজ করে।


শ্বেত রক্তকণিকা (লিউকোসাইট)

শ্বেত রক্তকণিকা দেহের প্রতিরক্ষার কাজ করে। এটি নানা ধরনের সংক্রামণকারী রোগ থেকে মানুষকে রক্ষা করে। পাঁচটি ভিন্ন ধরনের লিউকোসাইট রয়েছে, তবে তারা প্রত্যেকেই বোন ম্যারোর মধ্যকার এক ধরনের মাল্টিপোটেন্ট কোষ থেকে সৃষ্টি হয় যাকে হেমাপয়েটিক স্টেম সেল বলা হয়, তারা মানবদেহে ৩-৪ দিন থাকে। রক্ত এবং লসিকা সহ সারা মানবদেহেই লিউকোসাইট পাওয়া যায়।


অণুচক্রিকা (থ্রম্বোসাইট)

অণুচক্রিকা বা থ্রম্বোসাইট বা প্লেটলেট হল অতিক্ষুদ্র, অনিয়মিত আকারের কোষ (এতে কোন ডিএনএধারী নিউক্লিয়াস নেই)। এর ব্যাস ২-৩ µm এবং প্রিকার্সর মেগাকারিওসাইটের গাঁজান থেকে সৃষ্টি হয়। এর আয়ু বড়জোর ৫-৯ দিন। অণুচক্রিকা বৃদ্ধির প্রাকৃতিক উৎস। স্তন্যপায়ীদের দেহে এরা সংবাহিত হয় এবং রক্ততঞ্চনে অর্থাৎ ক্ষতস্থানের রক্ত জমাট বাঁধায় নিয়োজিত থাকে। অণুচক্রিকা সূতার আঁশের ন্যায় রক্তকে জমাট বাঁধায়।

অণুচক্রিকার সংখ্যা খুব কমে গেলে মারাত্মক রক্তক্ষরণ হতে পারে। আবার অণুচক্রিকার সংখ্যা খুব বেরে গেলে তা রক্তনালিকাগুলোকে বাঁধা দিয়ে থ্রম্বোসিস ঘটাতে পারে এবং এমন পরিস্থিতিতে স্ট্রোক, মাইওকার্ডিয়াল ইনফ্র্যাকশন, ফুসফুসীয় ধমনীরোধ এবং রক্তনালিকা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। অণুচক্রিকার অস্বাভাবিকতা বা রোগকে থ্রম্বোসাইটোপ্যাথি বলা হয় যা হতে পারে অণুচক্রিকা কমে গেলে (থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া), অণুচক্রিকার স্বাভাবিক কাজ বাধাগ্রস্ত হলে (থ্রম্বোস্টেনিয়া) কিংবা অণুচক্রিকার সংখ্যা বেড়ে গেলে (থ্রম্বোসাইটোসিস)। এছাড়া বেশকিছু রোগের কারণেও অণুচক্রিকা কমতে পারে যেমন ডেঙ্গু বা হেপারিন-ইনডিউজড থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া (এইচআইটি)।

অণুচক্রিকা বিভিন্ন বৃদ্ধিবর্ধক উপাদান উৎপন্ন করে যেমন প্লেটলেট-ডেপরাইভড্‌ গ্রোথ ফ্যাক্টর (পিডিজিএফ), এ পটেন্ট কেমোট্যাক্টিক এজেন্ট এবং টিজিএফ বেটা যা অতিরিক্ত কোষীয় মাতৃকাকে তরান্বিত করে। উভয় বৃদ্ধিবর্ধক উপাদান সংযোজক কলার পুনর্গঠন এবং পুনঃনির্মানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়াও আরো কিছু বৃদ্ধিবর্ধক উপাদানও তৈরি করে অণুচক্রিকা যেমন ফাইব্রোব্লাস্ট গ্রোথ ফ্যাক্টর, ইনসুলিন-এর ন্যায় গ্রোথ ফ্যাক্টর-১, প্লেটলেট-ডেপরাইভড এপিডার্মাল গ্রোথ ফ্যাক্টর এবং ভাস্কুলার এন্ডোথেলিয়াল গ্রোথ ফ্যাক্টর। এসব উপাদানের স্থানীয় প্রয়োগ প্লেটলেট-রিচ প্লাজমা (পিআরপি)-এর ঘনত্ব বাড়ায় এবং ক্ষত সারাতে যুগ-যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে
by Earnings : 7.67 Usd (6,719 points)

Related questions

-- Payment Method & Thresholds--Referral Program--Help--
-- FAQ --- Terms --DMCA ---Contact Us --
Language Version--English --Bengali ---Hindi ---
...