মেঘে চার্জ সৃষ্টি হওয়ার কারণে মেঘগুলো একটি শক্তিশালী ধারক বা ক্যাপাসিটর হিসেবে কাজ করে।
মেঘের ঊর্ধ ও নিম্ন স্তরে ভিন্ন চার্জ জমার কারণে সেখানে শক্তিশালী বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র তৈরি হয়।
অনবরত এই ঘটনা চলতে থাকলে একসময় মেঘে পজিটিভ ও নেগেটিভ চার্জের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে এতটা শক্তিশালী বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র তৈরী করে যে মেঘের নিম্ন প্রান্তের ইলেকট্রন বা নেগেটিভ চার্জের বিকর্ষণে পৃথিবীপৃষ্ঠে থাকা ইলেকট্রন গুলো মাটির আরো গভীরে চলে যায়। এরফলে পৃথিবীর ঐ স্থানের মাটি শক্তিশালী পজিটিভ বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এবার বুঝলেন তো উপরে নেগেটিভ বা মাইনাস চার্জ রেডি আর নিচে পজেটিভ বা প্লাস চার্জ ডাকছে মিলিত হওয়ার জন্য। এখন বজ্রপাতের ঘটতে যা প্রয়োজন তা হল বিদ্যুৎ প্রবাহের জন্য সামান্য একটু বাহক বা কন্ডাক্টর।
মেঘের বিপুল শক্তিশালী বিদ্যুতক্ষেত্র তার চারপাশের বাতাসের অপরিবাহী ধর্মকে নষ্ট করে দেয়।আশেপাশের বাতাস পজিটিভ এবং নেগেটিভ চার্জে বিভক্ত হয়ে যায়। এই আয়োনিত বাতাস প্লাজমা নামেও পরিচিত।
বাতাস আয়োনিত হয়ে মেঘ এবং ভূপৃষ্ঠের মধ্যে বিদ্যুৎ চলাচলের পথ বা শর্ট সার্কিট তৈরী করে দেয়।
হুম এবার মেঘের নেগেটিভ চার্জ এই রাস্তা দিয়ে পৃথিবীতে অবস্থিত তার প্রিয়তমা পজেটিভ চার্জের কাছে চলে আসে এবং গুড়ুম গুড়ুম শব্দে বজ্রপাত ঘটায়।