কান এবং নাক আমাদের শরীরের দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এই দুই অঙ্গের যথাযথ যত্ন নেওয়া স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য অত্যন্ত জরুরী।
কানের যত্ন:
কান পরিষ্কার রাখুন: কানের ময়লা নিজে থেকেই বের হয়ে আসে। তাই কানে কোনো কিছু ঢুকিয়ে পরিষ্কার করার চেষ্টা করবেন না। এতে কানের পর্দা ফেটে যেতে পারে।
কানে পানি ঢুকে গেলে: যদি কানে পানি ঢুকে যায়, তাহলে মাথা একদিকে করে হালকাভাবে ঝাঁকুনি দিন।
কানে ব্যথা হলে: কানে ব্যথা হলে একজন ইএনটি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
কানে সংক্রমণ হলে: কানে সংক্রমণ হলে চিকিৎসকের নির্দেশ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন।
শব্দ দূষণ থেকে দূরে থাকুন: অতিরিক্ত শব্দ কানের জন্য ক্ষতিকর। তাই শব্দ দূষণ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।
নাকের যত্ন:
নাক পরিষ্কার রাখুন: নাককে পরিষ্কার রাখতে নাক ধুয়ে ফেলুন।
ঠান্ডা লাগলে: ঠান্ডা লাগলে গরম পানি দিয়ে বাষ্প নিন।
এলার্জি থেকে দূরে থাকুন: যদি আপনার কোনো ধরনের এলার্জি থাকে, তাহলে সেই এলার্জেন থেকে দূরে থাকুন।
নাক বন্ধ হয়ে গেলে: নাক বন্ধ হয়ে গেলে একজন ইএনটি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
নাকের মধ্যে কোনো কিছু ঢুকিয়ে দেবেন না: নাকের মধ্যে কোনো কিছু ঢুকিয়ে দেবেন না।
উভয়ের জন্য সাধারণ যত্ন:
সুষম খাবার খান: সুষম খাবার খেলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে এবং কান ও নাকের সমস্যা কম হবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন: পানি শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করুন: ধূমপান ও মদ্যপান কান ও নাকের জন্য ক্ষতিকর।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন: নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন:
কানে ব্যথা, চুলকানি বা তরল পদার্থ বের হলে।
শ্রবণ শক্তি কমে গেলে।
নাক বন্ধ হয়ে গেলে এবং শ্বাস নিতে অসুবিধা হলে।
নাক থেকে পুঁজ বা রক্ত বের হলে।
মাথাব্যথা, জ্বর এবং গলা ব্যথা হলে।
মনে রাখবেন: কান ও নাকের সমস্যা গুরুতর হতে পারে। তাই কোনো সমস্যা দেখা দিলে দেরি না করে একজন ইএনটি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।