বমি হলে শরীর জলশূন্য হয়ে পড়তে পারে এবং অন্যান্য সমস্যাও হতে পারে। তাই বমি হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
বমি হলে করণীয়:
জল এবং ইলেক্ট্রোলাইট খাবার: বমি হলে শরীর থেকে জল এবং ইলেক্ট্রোলাইট বের হয়ে যায়। তাই নিয়মিত ছোট ছোট করে জল বা ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ পানীয় খাওয়া খুবই জরুরি। অরাজকভাবে পানি পান না। ধীরে ধীরে সিপ করে সিপ করে পান করুন।
কঠিন খাবার এড়িয়ে চলা: বমি হলে কঠিন খাবার হজম করা কঠিন হয়ে পড়ে এবং আবার বমি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। তাই বমি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত কঠিন খাবার এড়িয়ে চলুন।
নরম খাবার খাওয়া: বমি বন্ধ হয়ে গেলে ধীরে ধীরে নরম খাবার খাওয়া শুরু করতে পারেন। যেমন- বিস্কুট, টোস্ট, চাউলের পানি ইত্যাদি।
আরাম করা: বমি হলে শরীরকে আরাম দিন। যতটা সম্ভব বিশ্রাম নিন।
ঔষধ সেবন: যদি বমি বন্ধ না হয় বা অন্য কোনো সমস্যা দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ডাক্তার আপনাকে বমি রোধক ওষুধ দিতে পারেন।
কখন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন:
যদি বমি বারবার হয় এবং দীর্ঘ সময় ধরে থাকে।
যদি বমির সাথে রক্ত বা পুঁজ বের হয়।
যদি বমি হওয়ার সাথে সাথে জ্বর, পেট ব্যথা, মাথা ঘোরা বা দুর্বলতা অনুভূত হয়।
যদি শরীরে পানিশূন্যতার লক্ষণ দেখা দেয়, যেমন- মুখ শুকিয়ে যাওয়া, প্রস্রাব কম হওয়া ইত্যাদি।
বমি হওয়ার কারণ:
বমি হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে, যেমন-
খাবারে বিষাক্ত পদার্থ থাকা
ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ
ফুড পয়জনিং
গর্ভাবস্থা
ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
মাইগ্রেন
পেটের আলসার ইত্যাদি
মনে রাখবেন:
বমি হলে ঘরোয়া উপায়ে কিছুটা উপশম পেতে পারেন। তবে যদি বমি বারবার হয় বা অন্য কোনো সমস্যা দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার কাজে লাগবে।
Disclaimer: এই তথ্য শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে এবং কোনোভাবেই চিকিৎসা পরামর্শ হিসেবে বিবেচিত হবে না। কোনো রোগ বা অসুস্থতার ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।